মিরোজ খান মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জে ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতাল থেকে বেলী আক্তার(৩৭) নামের এক নারী ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারের পাশে সেবা নিতে আসা এক নারীর সাথে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটাতে গেলে উপস্থিত জনতা ওই নারীকে আটক করে। এসময় চক্রের আরেক সদস্য পালিয়ে যায়। হাসপাতাল কতৃপক্ষ পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে ছিনতাই চক্রের সদস্য বেলী আক্তারকে থানা হেফাজতে নেয় পুলিশ।
জানাগেছে, আটককৃত নারী বেলী আক্তার শরিয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার নাজিমুদ্দিন বেপারীকান্দি গ্রামের মো. মান্নানের স্ত্রী।
ভুক্তভোগী নারী লতা বেগম(৫০) জেলার দৌলতপুর উপজেলার খলসী গ্রামের বাসিন্দা। তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমি ডাক্তার দেহাইব্যার আইছি। টিকিট নিমু বইল্যা লাইনে দাড়াইছি। হঠাত কইরা ওই মহিলা আমারে কয় দেহেন ক্যারা যেন টুপলা (টাকা বা অন্য কিছু আছে এমন থলে) ফালায়ে গ্যাছে। মনে হয় ট্যাকা। আসেন তো দেহি এর মধ্যে কি আছে? এই কইয়্যা আমারে লাইন থেইক্যা সরায়ে নিয়্যা যায় এবং একটা কাগজের পুরিয়া (চিরকুট) খুইলা দেহায়। আমি তো সাথে সাথে বুইজ্যা ফালাইছি। এর আগেও শুনছি এই রকম ঘটনা। সাথে-সাথে সবাইরে জানাইলাম। তারপর সবাই এই মহিলারে ধরবার পারলেও আরেক জনরে ধরবার পারে নাই।’
আটক নারী বেলী আক্তার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। সে জানিয়েছে, গত তিন দিন যাবত তরাস্থ গ্রামের ইতি’র সাথে এই ছিনতাই চক্রে যুক্ত হয়েছেন তিনি। তার কাজ হলো বিভিন্ন উপায়ে নিরীহ বোকা স্বভাবের নারীদেরকে সোনার গয়না বা মোটা অংকের টাকার লোভ দেখানো এবং অল্প টাকায় একটা চিরকুট বেচে দেয়া। যা একধরণের ধোঁকা দেয়া।’ এছাড়াও গত পরশু দিন(শনিবার) একই এলাক থেকে প্রায় দুই হাজার টাকা এই ছলনার আশ্রয়ে তারা ছিনতাই করেছেন বলে জানান।
এঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়ধীন বলে জানিয়েছেন মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রউফ সরকার।