মিরোজ খান জেলা প্রতিনিধি মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাকাল ৯টা থেকে জেলার ৭টি উপজেলায় ৭টি ভোট কেন্দ্রে একযোগে ইভিএমএ ভোট গ্রহন চলেছে। চেয়াম্যান পদে ২ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৪ জন এবং সাত ওয়ার্ডে সাধারন সদস্য পদে ১৯ জন প্রার্থীসহ মোট ৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ডিতা করছেন। সাকাল থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন চলেছে ।
এই নির্বাচনে দৌলতপুর উপজেলা ১০৭টি, ঘিওর উপজেলায় ৯৪টি, শিবালয় উপজেলায় ৯৪টি, সাটুরিয়া উপজেলায় ১১৯টি, সদর উপজেলায় ১৪৬টি, হরিরামপুর উপজেলায় ১৭০টি, সিংগাইর উপজেলায় ১৫৯টি ভোটার রয়েছে। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬৮১ জন ও মহিলা ভোটার ২০৮জন। সাতটি উপজেলায় সাতটি কেন্দ্রের ১৪টি বুথে ভোট গ্রহন হয়েছে ।
মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে সব মিলে ভোটার ৮৮৯জন । আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন আনারস প্রতীকে ৪৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী (চশমা) কে এম বজলুল হক খান পেয়েছেন ৪২৫ ভোট।
সাধারণ সদস্য পদে যারা জয়ী হয়েছে ঘিওরে মাহবুবুর রহমান জনি,সদরে আবুল বাশার, সিংগাইরে মোঃ তমিজ উদ্দিন,সাটুরিয়ায় আঃ রাজ্জাক,দৌলতপুরে মোঃ শফিক, হরিরামপুরে মোঃ হায়দার আলী, শিবালয়ে আঃকুদ্দুস। সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে জয়ী হয়েছে যারা ১নং ওয়ার্ডে নাজমা আক্তার,২নংওয়ার্ডে
৩নং ওয়ার্ডে রিপন আক্তার ফজলু। জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে
নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটানিং অফিসার শেখ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান, এই নির্বাচনকে খুব গুরুত্বে সাথে নিচ্ছে। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন ভাবে সম্পন্ন করা যায় সে লক্ষ্যে প্রত্যেকটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। স্থাপিত সিসিটিভির মাধ্যমে জেলা রিটানিং অফিসার ও নির্বাচন কমিশন সার্বক্ণনিক মনিটরিং ও তদারকি করবেন।
নির্বাচন বুথের সিসি টিভি দেখে যদি কোন অনিয়ম লক্ষ্য করা যায় তাহলে সাথে সাথে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এ বার শান্তিপূর্ন ভাবে নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য নিয়োজিত ছিলো।
ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে যাতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন এজন্য প্রতিটি কেন্দ্রে একজন পুলিশ পরিদর্শকের নেতৃত্বে ১৫ জন করে পুলিশ সদস্য । পাশাপাশি র্যাবের পক্ষ থেকেও একটি ভ্রাম্যমান টহল টিম ছিলো । প্রত্যেকটা ভোটকেন্দ্রে নিরুত্তাপ ভাবে চলছে ভোট গ্রহণ। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
এই নির্বাচনে ৮৮৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। অন্যান্য নির্বাচনের চেয়ে এটি গুরুত্ব সহকাররে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। সংশ্লিষ্ট সুত্রমতে, প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তদারকি করন।
জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও গতবারের জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট গোলাম মহিউদ্দিন পুনরায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে ২০১১ সালে জেলা পরিষদের প্রশাসক এবং ২০১৭ সালে নির্বাচনের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন।