মোঃ ইসমাইল হোসেন সজীব,চাটখিল নোয়াখালীঃ
নোয়াখালী চাটখিল উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নে ১৯ পারা কুরআন শরীফ মুখস্থকারী এক মাদ্রাসা ছাত্র নিখোঁজ হওয়ার ২৪ ঘন্টা পর তাকে পাওয়া যায় পরিবারের অভিযোগ তাকে জ্বীনে নিয়ে গেছে।
২৮ অক্টোবর শুক্রবার বিকেল ৫ টায় নিজ বাড়ি থেকে শীতের কাপড় নিয়ে মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে বের হয় ফরহাদ হোসেন (১৪) এর পর থেকে ছেলেটি নিখোঁজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি সহ নিখোঁজ পোস্ট সহ তারা সর্বত্র খুঁজে তাকে পায়নি তার পর দিন ২৯ অক্টোবর শনিবার বিকেল ৪ঃ৫০ মিনিটে মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের পাল্লা বাজারের পাশে ব্রিক ফিল্ডের পাশে স্থানীয়রা তাকে দেখে আটক করে তার বাবার কাছে পৌঁছে দেয়।
নিখোঁজ হওয়া ফরহাদ হোসেন উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের হীরাপুর হাজ্বী বাড়ির শামসুল আলম (৫০) ও ফাতেমা বেগম মনি (৪০) এর মেঝো ছেলে সে বানসা বাজার জামিয়া ইব্রাহিমীয়া কওমিয়া মাদ্রাসার ছাত্র।
ফরহাদ হোসেন বলেন,”রাস্তা থেকে ২ জন হুজুর আমাকে নিয়ে যায় এবং পাল্লা বাজার বড় মসজিদের সিঁড়িতে সারা রাত বসিয়ে রাখে,সকালে দশঘরিয়া একটা সুপারি বাগানে নিয়ে যায় সেখানে তারা আমাকে শুধু হাটায় পরে বিকেলে দশঘরিয়া বাজার থেকে জননী বাসে তুলে দেয় আমি হালিম দীঘির পাড় বাজারে নেমে বাড়ি আসার পথে লোকজন আমাকে ধরে বাবাকে ফোন দিলে আমাকে উনি নিয়ে আসে”।
ফরহাদের বাবার বক্তব্য,আমি তাকে অনেক খুঁজেছি যে যেখানে বলেছে গেছি অনেকে অনেক কথা বলেছেন কিন্তু লাকসাম,মনোহরগঞ্জ,লক্ষন পুরের চাঁন কপাল কবিরাজ আমাকে বলেছেন যে আমার ছেলেকে জ্বীনে নিয়েছে এবং তারা ভালো জ্বীন কোন ক্ষতি করবেনা ফেরৎ দিয়ে যাবে এবং সেটাই হয়েছে”।
ফরহাদের ফুফাতো ভাই দলিল লিখক মামুন বলেন,”ভূত বলতে কিছু নেই তবে জ্বীন আছে এবং ফরহাদ কে জ্বীনে নিয়েছে এটাই সত্যি,আমি বিষয়টি চাটখিল থানায় ও অবগত করেছি।