নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
গতকাল বিকেলে চকরিয়ার খুটাখালী বাজারে ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা সরওয়ার জাহান, সাইফুদ্দিন মাহমুদ ও নাপিতখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম খুটাখালীতে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন। ওইসময়ে তারা এক আত্মীয়ের জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে তাদের মোটর সাইকেলটি খুটাখালী বাজারস্থ রুনা এন্টারপ্রাইজ তৈলের দোকানের সামনে লক করা অবস্থায় পার্ক করে। অতঃপর তারা মিষ্টিবন নামক দোকানে ঢুকে চা পান করাকালে তিনজন পেশাদার মোটরসাইকেল ছিনতাইকারীকে উক্ত মোটরসাইকেলের লক ভেঙে মোটরসাইকেলটি নিয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে দৌড়ে গিয়ে তাদেরকে বাধা প্রদান করে। সাথে সাথে দৃশ্যমান ছিনতাইকারীদের সাথে ওঁত পেতে থাকা আরও ৬/৭ জন ছিনতাইকারী যোগ দিয়ে তাদের সাথে থাকা ছুরি ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সরওয়ার জাহান, সাইফুদ্দিন মাহমুদ ও নজরুল ইসলামের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তাদেরকে মারাত্মকভাবে আহত করে। ধারালো ছুরি, লোহার রড ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে প্রত্যেকের শরীরে গভীর ক্ষতচিহ্ন তৈরী হয়েছে এবং রক্তাক্ত কাঁটা জখম হয়।
আহতদের মধ্যে নাপিতখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম ও সরওয়ার জাহানের অবস্থা গুরুতর। আহতরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
জানা গেছে, অভিযুক্ত আসামীরা খুটাখালী এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী চক্র ‘সোবহান গ্রুপের’ সদস্য। গতকাল সংঘটিত ছিনতাই এবং সন্ত্রাসী আক্রমণের নেতৃত্ব দেয় খুটাখালী পূর্বপাড়া ৬ নং ওয়ার্ডের আবদুর রহমানের ছেলে মোঃ অভি এবং মেধা কচ্ছপিয়া গ্রামের ৪নং ওয়ার্ডের ইসলাম মাঝির ছেলে মোঃ রিদুয়ান।
এছাড়া শনাক্তকৃত অন্যান্য ছিনতাইকারী চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা হল পূর্ব পাড়া ৬নং ওয়ার্ডের মোঃ সাজ্জাদ, ৫নং ওয়ার্ডের মাইজপাড়ার রহিম উল্লাহর ছেলে রোকন উদ্দিন এবং অজ্ঞাত আরও ৬/৭ জন।
উল্লেখ্য যে, উপরোক্ত চিহ্নিত ছিনতাইকারী ও সন্ত্রাসীরা দীর্ঘদিন ধরে খুটাখালী ও আশেপাশের এলাকায় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা ও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে আসছে। বিভিন্ন মহল থেকে বারবার অভিযোগ দেয়া স্বত্ত্বেও প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। গতকালের এই জঘন্য ঘটনার প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগীরা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চকরিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছে বলে জানা গেছে।