স্টাফ রিপোর্টার ::
গুইমারা ২৪ পদাতিক ডিভিশনের আওতাধীন হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ০৮ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল থেকেই গুইমারা সরকারি কলেজ মাঠে গুইমারা রিজিয়ন ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন এর যৌথ আয়োজনে ৩০০ জন রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, ও ১০ টাকায় ব্যাগ ভর্তি বাজার দেওয়া হয়।
রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ কামাল মামুনের সার্বিক নির্দেশনায় অনুষ্টানে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সাংসদ কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুড়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতছিলেন । এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, খাগড়াছড়ি আসনের সংরক্ষিত সাংসদ বাসন্তী চাকমা, খাগড়াছড়ি খাগড়াছড়ি পার্বত্যজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কংজুরি চৌধুরী, গুইমারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেমং মারমা, গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রশিদ প্রমূখ। এছাড়াও জোন কমান্ডার লক্ষিছড়ি, মাটিরাঙ্গা ও সিন্দুকছড়ি ও গুইমারা রিজিয়ন সদরদপ্তরের সকল স্টাফ অফিসারগণ উপস্থিত ছিলেন।
৩০০টি পরিবারকে ১০ টাকার সুপারশপ হতে ব্যাগ ভর্তি বাজার (ডিম এক হালি-১ টাকা, বিস্কুট ১ টাকা কেজি , লুডুস-১ টাকা কেজি, সোয়াবিন তৈল-৩ টাকা লিটার, সুজি-১টাকা কেজি, মুসুর ডাল -১ টাকা কেজি, আটা-১ টাকা কেজি, সিদ্ধ চাল-১ টাকা কেজি, এংকার ডাল -১ টাকা কেজি, আলু -১ টাকা কেজি, লাউ-১ টাকা কেজি, মুরগীর মাংস-৪ টাকা কেজি, মাছ-৪ টাকা কেজি) বিতরন করা হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গুইমারা রিজিয়ন এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে খাগড়াছড়ির গুইমারাতে যাত্রা শুরু করলো সম্প্রীতি বিপণী।
সম্প্রীতি বিপণীর দুইটি অংশ। সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য দাতব্য অংশ এবং সচ্ছল/টুরিস্টদের জন্য বাণিজ্যিক অংশ। তবে বাণিজ্যিক অংশ খুব ছোট পরিসরে হবে। সেনাবাহিনী কিংবা সিভিল প্রশাসন কিংবা স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীর গাইডেন্সে বিভিন্ন অঞ্চলে দুঃস্থ জনসাধারণের মাঝে টোকেন/কার্ড দেয়া হবে। নির্ধারিত সে টোকেনে নির্দিষ্ট দিনে এসে রেশন পণ্য নিয়ে যেতে পারবে নাম মাত্র (এক, দুই টাকা) মূল্যে। মাসিক রেশনের নির্দিষ্ট টোকেন থাকবে যা শুধুমাত্র নিঃসন্তান বিধবা, অসহায় বৃদ্ধ (যাঁদের সন্তান দেখে না)। তাঁরা নির্দিষ্ট তারিখে এসে রেশন নিয়ে যাবেন। এ সেবাটি মূলত দূর্গম এলাকার মানুষের জন্য। এক্ষেত্রে সম্প্রীতি বিপণী তাঁদের পরিবহন খরচও বহন করবে।
গুইমারা রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ কামাল মামুন বলে, বিজিবি, আনসার, পুলিশসহ সকল নিরাপত্তা বাহিনী শান্তি সম্প্রীতি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এধারা অব্যাহত থাকবে।