নিজস্ব প্রতিনিধি
কক্সবাজার সদরের উপকূলীয় চৌফলদন্ডী ইউনিয়নে বিয়ে আসরে তান্ডব চালিয়ে চেয়ার টেবিল ভাংচুর ও হামলা চালিয়ে ২ জনকে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। তারা হলেন, মোহাম্মদ হোসেন ও রবিউল আলম।সংগঠিত ঘটনায় ৩ জনকে অভিযুক্ত করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। ৩ নভেম্বর মধ্য রাতে এ ঘটনাটি ঘটে ৬নং ওয়ার্ডের সিকদার পাড়া এলাকার আলী আকবরের ছেলে রবিউল আলমের বাড়িতে।ঘটনাটি এতদিন লোকলজ্জায় প্রকাশ না করলেও মুখ খুলেছে ভুক্তভোগী পরিবার। লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে ঘটনার দিন রাতে রবিউল আলমের বিয়ের গায়ে হলুদ চলছিল। গায়ে হলুদ পরবর্তী স্থানীয়দের বিনোদন দিতে আঞ্চলিক গানের প্রস্তুতি নেয় বেরসিক বর রবিউল আলম। গান বাজনার বিষয়টি প্রাণ মুসল্লীদের কাছে জানাজানি হলে স্থানীয় মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবদু রাজ্জাক এসে রবিউল আলমের বড় ভাই মোহাম্মদ হোসেনকে নিষেধ করে চলে যায়। গন্যমান্যদের অনুরোধে তারা গান বাজনা বন্ধ করে বাদ্যযন্ত্র খুলে পেলার মুহূর্তে একই এলাকার মৌলানা বজলুর করিমের ছেলে এরফানের নেতৃত্বে তার আরো দুই ভাই লাঠিসোঁটা নিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে বিয়ের আসরে প্রবেশ করে তান্ডব চালিয়ে চেয়ার টেবিল ভাংচুর করে। এ সময় বাধা দিতে চাইলে বর রবিউল আলম ও তার বড় ভাই মোহাম্মদ হোসেনকে মারধর করা হয় বলে জানান ভিকটিম মোহাম্মদ হোসেন।এ ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করলে একজন এসআই পদমর্যাদার অফিসার ঘটনাস্থলে এসে তান্ডব চালিয়ে ভাংচুরের সত্যতা পান৷ এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুয়াজ্জিন দাবিদার এরফান ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানান মোহাম্মদ হোসেন।মোহাম্মদ হোসেন আরো বলেন, সারা বছর এলাকায় বিয়ে বাড়িতে গান বাজনা হয়ে আসছে, কারো বেলায় এ রকম হতে দেখিনি, হঠাৎ আমার বাড়িত গান বাজনার অনুষ্ঠানে এসে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে তান্ডব চালাবে তা কখনো মেনে নেওয়া যায় না। অভিযুক্ত এরফানের ভাই আরমানের বিরুদ্ধে ইয়াবা এবং চাচা লালু সওদাগরের বিরুদ্ধে চোলাই মদ বিক্রি ও সেবনেরও অভিযোগ রয়েছে। নিজের ঘর ঠিক না করে অপরজনের বিয়ে বাড়িতে তান্ডব চালিয়ে চেয়ার টেবিল ভাংচুর, আগত মেহমানদের অপমান করবে তা মেনে নেওয়া যায় না। অভিযোগের বিষয়ে জানতে এরফানের সাথে বিভিন্ন মাধ্যমে কথা বলার চেষ্টা করা হয়, কিন্তু মুঠোফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। পাওয়া গেলে গুরুত্ব সহকারে ছাপানো হবে৷ কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, এক পক্ষ অভিযোগ দিয়েছে আরেক পক্ষ এজাহার জমা দিয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান ওসি৷