সায়মন সরওয়ার কায়েমঃ
ঈদগড় ঈদগাঁও সড়কের দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে । বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সড়কের ঈদগাঁও এলাকার হিমছড়ি ঢালায় ঘটনাটি ঘটেছে।
প্রাপ্ত তথ্য জানা যায়, গত ১০ ই নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মি: সময় ঈদগাঁও- ঈদগড় সড়কের হিমছড়ি নামক স্থানে একদল ডাকাত একটি টাটা ও দুটি সিএনজি গাড়ির গতিরোধ করে ডাকাতির চেষ্টা চালায়। গাড়ি দুইটি পালিয়ে আসার সময় ডাকাতের দায়ের কোপে সামনের গ্লাস ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। কোনরকমে টাটা এবং একটি সিএনজি গাড়ি পালিয়ে আসাতে সক্ষম হলেও অপর সিএনজি (কক্সবাজার থ-১১-৭৮১৫) ডাকাতের কবলে পড়ে। এতে ডাকাতরা ঐ গাড়িতে থাকা যাত্রীদের মোবাইল, নগদ টাকা লুট করে। খবর পেয়ে ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম কবির ঘটনাস্থলে ছুটে যান। ডাকাত কবলিত সিএনজি গাড়িটি তথ্য সংগ্রহের জন্য ঈদগাঁও থানার হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ব্যাপারে পালিয়ে আসা টাটা গাড়ির ড্রাইভার মানিক জানান, হঠাৎ ঢালার পয়েন্ট নামে পরিচিত হিমছড়িতে পৌঁছুলে আগে থেকে উৎপাতে থাকা ১০-১২ সদস্যের একদল ডাকাত পার্শ্ববর্তী জঙ্গল থেকে বের হয়। তারা দেশীয় তৈরি বন্দুক, লাঠি, দা ইত্যাদি গাড়ির দিকে থাক করলে ড্রাইভার বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়ে দ্রুত গাড়ি চালিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ডাকাত দল তাদের হাতে তাকা লম্বা দা দিয়ে গাড়ির গ্লাসে আঘাত করে। জীবন বাজি রেখে ড্রাইভার কোনরকম পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে গাড়িসহ ড্রাইভার মানিককে দেখতে এলাকার অধিকাংশ লোক ছুটে আসেন।এদিকে হঠাৎ করে ডাকাতের অপ তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়া এতদ অঞ্চলের যাত্রী সাধারণের মনে নতুন করে ভীতির সৃষ্টি হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম কবিরের সাথে ১০ ই নভেম্বর রাত ৮:১৫ মিনিটে এ প্রতিবেদকের মুঠোফোন আলাপ হলে তিনি একটি সিএনজি গাড়ি ডাকাতি হয়েছে বলে স্বীকার করেন। পাশাপাশি তড়িৎ অভিযান চালিয়ে চিহ্নিত এসব কাজের সাথে যারা জড়িত রয়েছে তাদেরকে গ্রেফতার করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছেন বলে জানান।