সায়মন সরওয়ার কায়েমঃ
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নে বনে ঝাড়ু ফুল সংগ্রহ করতে গিয়ে বন খেকোদের সশস্ত্র হামলায় আবদু রশিদ (৬০) নামের এক পান ব্যবসায়ীকে খুন করা হয়েছিলো।
পাহাড়ী জঙ্গলে অমানবিকভাবে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্বামী আব্দু রশিদকে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যার অভিযোগে চকরিয়া থানায় নিহতের স্ত্রী রেহেনা বাদীনি হয়ে গত ২৪ নভেম্ব ৩০২/৩৪ ধারায় হত্যা মামলা দায়ের করেন, মামলা নং- ৩৪/৫৪৫। মামলায় আসামী করা হয় খুটাখালী ৮নং ওয়ার্ড পূর্ণগ্রামের বর্তমান বাসিন্দা শাহ আলমের পুত্র মোঃ জুয়েল (২১), শাহ আলমের স্ত্রী কমরু (৪৫) এবং শাহ আলম (৫৮)। আসামীগণের স্বায়ী ঠিকানা রামু থানাধীন ঈদগড় ২নং ওয়ার্ডের পূর্ব হাছনা কাটা গ্রামে।
মামলা দায়েরের প্রায় ১ মাস গত হলেও আসামীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে ! হত্যা মামলার আসামী হয়েও প্রকাশ্যে ঘুরাফেরায় থানা পুলিশের অভিযান প্রশ্নবিদ্ধ ! এমনকি আসামীরা বাদীনিকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি ধমকি দিয়ে আসছেন মামলা দায়েরের পর থেকে। মামলা নামিয়ে সমঝোতা করার জন্যে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল থেকে চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
উল্লেখ্য যে, এজাহারে বাদীনি রেহেনা বলেন, তার স্বামী আব্দু রশিদ একজন পান ব্যবসায়ী। গত ২০ নভেম্বর সকালে নিজের বসত ঘরে ব্যবহারের জন্যে বন বিভাগের গহীন জঙ্গলে ঝাড়ু সংগ্রহের জন্যে গিয়েছিলো। আসামীগণ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আব্দু রশিদকে একা পেয়ে ধারালো অস্ত্রের মাধ্যমে মারাত্বকভাবে জখম করে। বাদীনি খবর পেয়ে তার স্বামীকে আশংকাজনক অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে প্রথমে ঈদগাহ্ মেডিকেলে ভর্তি, তারপর কক্সবাজার সদর হাসপাতালে, তারও পরে চমেক হাসপাতালে ১ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় থেকে ২১নভেম্বর দিবাগত রাত ১টার সময় মৃত্যুবরণ করেন। চট্টমেট্রো পাঁচলাইশ থানা পুলিশ নিহত আব্দু রশিদের সুরতহাল প্রতিবেদনের পরে চমেক মর্গে প্রেরণ করেন। সুরতহাল প্রতিবেদনে নিহতের শরীরে ধারালো অস্ত্রের মাধ্যমে করা মারাত্মক জখমের তথ্য উল্লেখ রয়েছে। চমেক কর্তৃপক্ষ ময়না তদন্ত কার্য শেষে মৃত দেহ পরের দিন গ্রামের বাড়ীতে এনে কবরস্থানে দাফন কাফন সম্পন্ন করা হয়।
বাদীনি প্রতিবেদককে জানিয়েছে তার স্বামী হত্যা মামলার আসামীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে আছে। আসামীরা বিভিন্ন মহল থেকে বাদীনিকে প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছে এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ক্ষতি করার হুমকিও দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। বাদীনি তাহার স্বামী হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার পূর্বক সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনার জন্যে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ওমর ফারুক প্রতিবেদককে জানিয়েছে, আসামীগণ বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানায় না থাকায় বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়েও তাদেরকে আটক করা সম্ভব হয়নি। থানা পুলিশ টিম অভিযান কার্যক্রম অব্যহত আছে, ইনশাআল্লাহ্ যে কোন মুহুর্তে তাদেরকে আটক করতে সক্ষম হবো।