শাহাজামান বাদশা,পাইকগাছা খুলনা
খুলনা পাইকগাছা ২০ নং খড়িয়া খালপার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী-কাম-প্রহরী পদে ৩ বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হলেও হয়নি কোনো নতুন চুক্তি। জানা যায় ২০ নং খড়িয়া খালপার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অর্থ বিভাগ,অর্থ মন্ত্রণালয়ের পত্র সংখ্যা নং-০৭.১৫৩.০১৫.০৩.০০.১.২০২১-৪৫৫ তারিখ ২৫/০৬/২০১২ মোতাবেক এবং দপ্তরী-কাম-প্রহরী নিয়োগ অনুমোদনকারী কতৃপক্ষের কতৃক নিয়োগ অনুমোদন ক্রমে ০১/০৮/২০১৭ তারিখে ৫৮৬ নং স্মারকে পত্র মূলে খড়িয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের পুত্র কামাল হোসাইনের ৩ বছরের জন্য দপ্তরী-কাম-প্রহরী চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান ।
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে ( গ ) এ স্পষ্ট উল্লেখ করা আছে যে এই চুক্তি পত্রের মেয়াদ শেষে অব্যহতি পত্র হিসেবে গণ্য হইবে । কিন্তু কামাল হোসাইন এখনো বহল তোবিয়াতে ৩ বছরের চুক্তির বাহিরে ২০ নং খড়িয়া খালপার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী-কাম-প্রহরী হিসাবে রয়েগেছেন। এদিকে কামাল হোসাইনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে যেমন পাইকগাছা থানায় দুটি জিডি হয়েছে একটি খড়িয়া গ্রামের মফিজুল সানা জিডি করেন যাহার নং ১২৪১/১৯ ইং আর একটি অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতি বাকি বিল্লাহ আজাদী জিডি করেন যাহার নং ১৪৪০/২২ ইং। এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলছেন যে কামাল হোসাইন এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ও শিক্ষা অফিসারকে মেনেজ করে এখনো অত্র বিদ্যালয়ে দপ্তরী-কাম-প্রহরী বহাল তবিয়তে আছেন কামাল হোসাইন। এলাকার একাধিক ব্যক্তি বলেন কামাল হোসাইন অধিকাংশ সময় বিদ্যালয়ে না থেকে প্রতিবন্ধী ভাতা প্রাপ্ত মইমেনুলকে দিয়ে কাজ করান কামাল হোসাইন। আর মনোনীত শিক্ষকদের বাইরে অন্য শিক্ষকদের সাথে সব সময় খারাপ আচরণ করেন কামাল হোসাইন। এবিষয়ে অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন চুক্তির বাহিরে কামাল হোসাইন কি হিসেবে কাজ করছেন বিদ্যালয়ে আমার জানা নাই তবে আমি কামাল হোসাইনের বিষয়ে একাধিক বার মৌখিক ভাবে শিক্ষা অফিসারদের জানালেও কোনো লাভ হয়নি। এবিষয়ে পাইকগাছা উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন এখনি কিছু বলতে পারছিনা তবে পরবর্তীতে কাগজ পত্র দেখে বলা যাবে আমি যতো দুর মনে হয় একটা মামলা আছে নিয়োগের বিষয়ে। সাথে সাথে তিনি বলেন আগামী দিন বৃত্তি পরীক্ষা আছে তাই একটু ব্যস্ত আছি দোয়া করবেন। যেনো বৃত্তি পরীক্ষা ভালো ভাবে হয় ।