নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর মহাদেবপুরে বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্নীতি,অর্থ-আত্মসাৎ এবং স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে অবৈধভাবে কমিটি গঠনসহ এমপির দোহাই দিয়ে চতুর্থ শ্রেণীর ৪টি পদে প্রায় অর্ধকোটি টাকা নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে “কৃষ্ণগোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়” এর প্রধান শিক্ষক সীমা রাণী মজুমদার ও সভাপতি সুশীল চন্দ্রের বিরুদ্ধে।
এসব কারণে ওই বিদ্যালয়ের দূর্ণীতিবাজ প্রধান শিক্ষক সীমা রাণী মজুমদার এবং তার মামা সভাপতি সুশীল চন্দ্রের দূর্নীতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ ও অবৈধভাবে গঠিত কমিটি এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের দাবিতে সচেতন এলাকাবাসীর পক্ষে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য সাইফুল ইসলাম চৌধুরী নামে এক শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তি এ বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে দায়েরকৃত অভিযোগ উপেক্ষা করে এবং অভিভাবক সদস্যদের একাংশকে বাদ দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বৃহস্পতিবার সকালে চতুর্থ শ্রেণীর ৪টি পদের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ওই পরীক্ষার ফলাফল না জানিয়ে ডিজির প্রতিনিধি স্থানীয়দের তোপের মুখে বিদ্যালয় ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে ওইদিন বিকেলে বিদ্যালয়ের ওয়ালে নোটিশ আকারে মনগড়াভাবে নির্বাচিতদের তালিকা টাঙ্গিয়ে দেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নির্বাচিতদের মধ্যে তিন জনের নাম মামলার আরজিতে উল্লেখ রয়েছে। অথচ, তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা এবং জমি নিয়ে তাদেরকেই নির্বাচিত করা হয়েছে। এতে অত্র এলাকাজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
কৃষ্ণগোপালপুর দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দূর্ণীতিবাজ প্রধান শিক্ষক সীমা রাণী মজুমদার এবং বর্তমান সভাপতি সুশীল চন্দ্র এসব বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি। তাদের দাবি যে, বৈধ প্রক্রিয়ায় এবং যথাযথ নিয়ম মেনেই নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।