চাটখিল নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফার বাড়িতে গত রবিবার রাত ২ টার দিকে,হামলা ও গুলির ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি ও তার সহযোগীরা প্রচার করতে থাকেন,এই ঘটনা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করার জন্য সাংবাদিকদের কাছে খিলপাড়া এলাকা থেকে একাধিক ব্যক্তি ফোন করেন।
গত দুইদিন ধরে সাংবাদিকরা এ ঘটনা নিয়ে অনুসন্ধান চালায়,গোলাম মোস্তফার আশেপাশের বাড়ির লোকজন সহ এলাকার স্থানীয় বাসিন্দার সাথে কথা বলে জানতে চাইলে কেউ হামলা ও গুলির ঘটনার বিষয় কোনো তথ্য দিতে পারেনি,এ ধরনের কোন ঘটনা ওই রাতে ঘটেছে বলেও তারা শুনেনি বলে অনেকে জানিয়েছে, গত (১৭ জানুয়ারি) মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে সময় গোলাম মোস্তফাকে হামলার ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি একনাগারে তোতা পাখির মত বলতে শুরু করেন,তার বক্তব্যে শুনে মনে হল আগে থেকে কেউ একজন তাকে কথাগুলো শিখিয়ে দিয়েছেন আর তিনি তাই বলছেন।
তবে তিনি আজগুবি তথ্য জানিয়েছেন সিসি ক্যামেরার বিষয়ে গোলাম মোস্তফা বলেছেন, ওয়াজের জন্য তিনি সিসি ক্যামেরা বন্ধ রেখেছেন। একবার বলেছেন রাত ১০টা থেকে,আবার বলেছেন রাত ৮ টা থেকে তিনি নিজেই সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে দেন,আবার বলেন তার সিসি ক্যামরায় কোন রেকর্ড হয় না।
গোলাম মোস্তফার পুরো বাড়ি ঘুরে দেখা গেল ঘরের দরজার সামনে দুই পাশের বারান্দায় দুটো গ্লাস রয়েছে,এগুলো লম্বা এবং পাশে এক ফুট হবে,এ দুটি গ্লাস ভাঙ্গা ছাড়া হামলার সময় আর কোন ঘটনা ঘটে নাই।
হামলার পর পর তিনি বলেছিলেন তার বাড়িতে গুলি করা হয়েছে। অথচ সাংবাদিককে তিনি গুলির মতো কোনো ঘটনা কথা উল্লেখই করেননি।
এলাকাবাসী বলেছেন,গোলাম মোস্তফা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে নেমেছেন,একটি মহল তাকে ব্যবহার করে সুবিধা আদায়ের মিশনে নেমেছেন, আবার অনেকেই বলেছেন হামলার ঘটনা একটি সাজানো নাটক ছাড়া আর কিছুই নয় মোস্তফার কথায় ও হামলার ঘটনার ব্যাপারে রহস্য থেকে যায়।
গোলাম মোস্তফার পাশের বাড়ির বাসিন্দা জয়নাল আবদীন (৭৬) এর কাছে ওই রাতের হামলার ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমরা ডাক চিৎকার শুনে তার বাড়ীতে গিয়েছিলাম,তবে আমি গুলির শব্দ শুনিনি,একই বাড়ীর অন্যান্য নারী পুরুষেরাও একই কথা জানিয়েছেন।