মোঃ আল-আমিন, গাজীপুর
গাজীপুরের শ্রীপুরে লাকড়িভর্তি ট্রাক-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নানি-নাতনি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বৃদ্ধার জামাতা ও মোটরসাইকেলচালক মো. বাবুল মিয়া গুরুতর আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের গাজীপুর বদনীভাঙ্গা সড়কের বদনীভাঙ্গা স্কুলের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন উপজেলার বদনীভাঙ্গা গ্রামের আব্দুস সোবহানের স্ত্রী বাছিরন নেছা (৫৫) এবং একই ইউনিয়নের শিরিশগুড়ি গ্রামের মো. বাবুল মিয়ার মেয়ে নুসরাত (৪)। গুরুতর আহত মোটরসাইকেলচালক মো. বাবুল মিয়া (৪০)।
নিহতের স্বজন আলমগীর হোসেন বলেন, কয়েক দিন ধরে নিহত শিশু নুসরাত নানিবাড়ি বদনীভাঙ্গা বেড়াতে গিয়েছিল। আজ দুপুরে বাবা বাবুল মিয়া তাঁর শিশুকন্যাকে আনতে শ্বশুরবাড়িতে যান। দুপুরের খাওয়া শেষে মেয়ে ও শাশুড়িকে নিয়ে মোটরসাইকেলে শিরিশগুড়ি গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। তাঁরা বদনীভাঙ্গা স্কুলের কাছে পৌঁছালে লাকড়িভর্তি একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নানি বাছিরনের মৃত্যু হয়। আশপাশের লোকজন দ্রুত শিশু নুসরাতকে উদ্ধার করে হাসপাতালের নেওয়ার পথে শিমলাপাড়া বাজারের কাছাকাছি গেলে শিশু নুসরাতেরও মৃত্যু হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা লিয়াকত আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুর্ঘটনায় পরপরই আমরা দৌড়ে এসে ট্রাকের নিচ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই। তাঁর মাথা, নাক ও কান দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। শিশুটির নানির ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। আর মোটরসাইকেলচালক বাবুল মিয়াকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁর কোমর ভেঙে গেছে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকের চালক পালিয়ে গেছে। তবে ট্রাকটি এলাকাবাসী আটক করেছে।’
দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকের মালিক মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুস ছাত্তারের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের দুটি দল পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।