বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
অবশেষে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বাগেরহাট জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ও ঐতিহাসিক ষাটগুম্বজ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফকির তারিকুল ইসলাম। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারী ) সন্ধ্যায় খুলনা জেলা কারাগার থেকে তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী মিসেস মনিরা ইসলাম। এর আগে দীর্ঘদিন যুক্তরাজ্যে পলাতক থেকে গত ১১ অক্টোবর খুলনা বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। ২০০৯ সালের ১০ এপ্রিল দুদকে দায়ের করা একটি মামলার রায়ে তিন বছরের সাজা হয় তার। তিনি বাগেরহাটের খান জাহান আলী মাজার এলাকার মৃত ফকির রজ্জব আলীর ছেলে। সে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বৈত নাগরিক বলে জানা গেছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানাযায়, ফকির তারিকুল ইসলাম ২০০৯ সালের অক্টবর মাসে যুক্তরাজ্যে চলে যান। আয়ের উৎস গোপন ও অসত্য তথ্য দেওয়ার মাধ্যমে নিজের ও স্ত্রীর নামে প্রায় ৭০ লাখ ৭ হাজার টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগ এনে ২০০৯ সালের ১০ এপ্রিল খুলনা দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. এনায়েত হোসেন বাগেরহাট সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার রায়ে খুলনা বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালত তার অনুপস্থিতিতে তিন বছরের সাজা প্রদান করেন। তিনি দীর্ঘদিন থেকে পরিবার নিয়ে যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। দেশে এসে মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে খুলনা বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
খুলনা জেলা কারাগার থেকে গত ২২ নভেম্বর পৃথক দুটি মামলায় তাকে বাগেরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। সকল আইনি লড়াই শেষে তিনটি মামলাতেই মহামান্য হাইকোর্ট থেকে জামিন লাভ করেন তিনি। বাগেরহাট জেলা কারাগারে থাকাকালীন তিনি অসুস্থ বোধ করলে পরিবারের পক্ষ থেকে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য মহামান্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন, আদালত উন্নত চিকিৎসার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করেন। সে লক্ষে গত ২৩ জানুয়ারি তাকে বাগেরহাট থেকে খুলনা জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। জামিনের সকল কাগজ পত্র বাগেরহাট জেলা কারাগারে পৌঁছানোর পর অবশেষে খুলনা জেলা কারাগার থেকে সোমবার ২৪ জানুয়ারী সন্ধ্যায় মুক্তি পান তিনি।