কামরুজ্জামান শিমুল বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি:
দীর্ঘ ১৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হলো বাগেরহাট জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। সম্মেলনকে ঘিরে উৎসবে মেতে উঠেছিল পুরো জেলা শহর। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত ছিল সর্বত্র। তোরণ প্যানা ফেস্টুনে শোভা পাচ্ছিলো বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী সহ যুবলীগের শীর্ষ নেতা ও বাগেরহাটের সংসদ সদস্যদের ছবি। গোটা শহর পরিণত হয় মিছিলের শহরে। বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দুই ধাপে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা যুবলীগের আহবায়ক সরদার নাসির উদ্দিন। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র বাগেরহাট -১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন। সম্মেলনের উদ্ভোদন করেন আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হোসেন ও এস এম কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল, কেন্দ্রীয় যুবলীগের দুই প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সোহেল উদ্দিন ও এমপি মুজিবুর রহমান (নিক্সন চৌধুরী), বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র খুলনা সদরের এমপি শেখ সালাহউদ্দিন, বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার,
বাগেরহাট-৪ আসনের এমপি আমিরুল আলম মিলন, বাগেরহাট-২ আসনের এমপি শেখ শারহান নাসের তন্ময়, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু, সাধারণ সম্পাদক ভূইয়া হেমায়েত উদ্দিন, বাগেরহাট সদরের সাবেক এমপি মীর শওকাত আলী বাদশা প্রমুখ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় ধাপে জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে ২৭৪ জন কাউন্সিলরের মতামতে জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। এর আগে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হইতে ইচ্ছুক ৯ জন নেতা তাদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দেন। সন্ধায় সম্মেলনে উপস্থিত কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিনকে সভাপতি ও মীর জায়েসী আশরাফি জেমসকে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে তাদের নাম ঘোষণা করেন। জেলা কমিটির এই দুই নেতা আগামী এক মাসের মধ্যে বাগেরহাট জেলা যুবলীগের ১০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করবেন।