বায়ুদূষণ একটি মানবসৃষ্ট দুর্যোগ। ঢাকাসহ আশপাশের শহরগুলোর বাতাস বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। ঢাকা শহরের বায়ুদূষণ কয়েক বছর ধরে বিশ্বের অন্য শহরগুলোর মধ্যে প্রায়ই শীর্ষে অবস্থান করে। গত জানুয়ারি মাসে ঢাকাবাসী একটি দিনও নির্মল বায়ুর নিশ্বাস নিতে পারেনি।
‘এয়ার ভিজ্যুয়ালের’ বায়ুর মান সূচক ‘এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স’ অনুসারে, গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে ঢাকার বায়ু বেশির ভাগ দিনই খুব অস্বাস্থ্যকর ছিল। ঢাকাবাসী প্রতিনিয়ত বিষাক্ত নিশ্বাস নিচ্ছে, যার ফলে রয়েছে মারাত্মক জনস্বাস্থ্যঝুঁকিও।
EN
By using this site, you agree to our Privacy Policy.
OK
কলাম
মতামত
বিষাক্ত বাতাসে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি, ব্যক্তিপর্যায়েও রয়েছে সমাধান
লেখা:মো. সাখাওয়াত হোসেন
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২৩: ০০
বিষাক্ত বাতাসে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি, ব্যক্তিপর্যায়েও রয়েছে সমাধান
বায়ুদূষণ একটি মানবসৃষ্ট দুর্যোগ। ঢাকাসহ আশপাশের শহরগুলোর বাতাস বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। ঢাকা শহরের বায়ুদূষণ কয়েক বছর ধরে বিশ্বের অন্য শহরগুলোর মধ্যে প্রায়ই শীর্ষে অবস্থান করে। গত জানুয়ারি মাসে ঢাকাবাসী একটি দিনও নির্মল বায়ুর নিশ্বাস নিতে পারেনি।
‘এয়ার ভিজ্যুয়ালের’ বায়ুর মান সূচক ‘এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স’ অনুসারে, গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে ঢাকার বায়ু বেশির ভাগ দিনই খুব অস্বাস্থ্যকর ছিল। ঢাকাবাসী প্রতিনিয়ত বিষাক্ত নিশ্বাস নিচ্ছে, যার ফলে রয়েছে মারাত্মক জনস্বাস্থ্যঝুঁকিও।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্যসমস্যাগুলো হলো শ্বসনযন্ত্র-সম্পর্কিত রোগ, হৃদ্রোগ, ফুসফুস ক্যানসার, নির্ধারিত সময়ের আগে শিশুর জন্ম, কম ওজনের শিশুর জন্ম, মৃত শিশু প্রসব, মানসিক স্বাস্থ্যসমস্যা, শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশজনিত স্বাস্থ্যসমস্যা ও অপমৃত্যু।
সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছে বায়ুদূষণ–সংবেদনশীল গ্রুপ, যেমন শিশু, বৃদ্ধ ও যাদের আগে থেকে শ্বসনযন্ত্র-সম্পর্কিত রোগ, হৃদ্রোগ ও অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী রোগ আছে।
বায়ুদূষণের কারণে সবচেয়ে ভুক্তভোগী হচ্ছে শিশুরা। কারণ, শিশুদের শ্বাসপ্রশ্বাসের হার প্রাপ্তবয়স্কদের চেয়ে অনেক বেশি, তাই শিশুরা অনেক বেশি পরিমাণে দূষিত বায়ু নিশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করে।
EN
By using this site, you agree to our Privacy Policy.
OK
কলাম
মতামত
বিষাক্ত বাতাসে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি, ব্যক্তিপর্যায়েও রয়েছে সমাধান
লেখা:মো. সাখাওয়াত হোসেন
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২৩: ০০
বিষাক্ত বাতাসে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি, ব্যক্তিপর্যায়েও রয়েছে সমাধান
বায়ুদূষণ একটি মানবসৃষ্ট দুর্যোগ। ঢাকাসহ আশপাশের শহরগুলোর বাতাস বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। ঢাকা শহরের বায়ুদূষণ কয়েক বছর ধরে বিশ্বের অন্য শহরগুলোর মধ্যে প্রায়ই শীর্ষে অবস্থান করে। গত জানুয়ারি মাসে ঢাকাবাসী একটি দিনও নির্মল বায়ুর নিশ্বাস নিতে পারেনি।
‘এয়ার ভিজ্যুয়ালের’ বায়ুর মান সূচক ‘এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স’ অনুসারে, গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে ঢাকার বায়ু বেশির ভাগ দিনই খুব অস্বাস্থ্যকর ছিল। ঢাকাবাসী প্রতিনিয়ত বিষাক্ত নিশ্বাস নিচ্ছে, যার ফলে রয়েছে মারাত্মক জনস্বাস্থ্যঝুঁকিও।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্যসমস্যাগুলো হলো শ্বসনযন্ত্র-সম্পর্কিত রোগ, হৃদ্রোগ, ফুসফুস ক্যানসার, নির্ধারিত সময়ের আগে শিশুর জন্ম, কম ওজনের শিশুর জন্ম, মৃত শিশু প্রসব, মানসিক স্বাস্থ্যসমস্যা, শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশজনিত স্বাস্থ্যসমস্যা ও অপমৃত্যু।
সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছে বায়ুদূষণ–সংবেদনশীল গ্রুপ, যেমন শিশু, বৃদ্ধ ও যাদের আগে থেকে শ্বসনযন্ত্র-সম্পর্কিত রোগ, হৃদ্রোগ ও অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী রোগ আছে।
বায়ুদূষণের কারণে সবচেয়ে ভুক্তভোগী হচ্ছে শিশুরা। কারণ, শিশুদের শ্বাসপ্রশ্বাসের হার প্রাপ্তবয়স্কদের চেয়ে অনেক বেশি, তাই শিশুরা অনেক বেশি পরিমাণে দূষিত বায়ু নিশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করে।
বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত ‘ব্রিদিং হেভি: নিউ এভিডেন্স অন এয়ার পলিউশন অ্যান্ড হেলথ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণা অনুসারে, বাংলাদেশে ২০১৯ সালে ৭৮ থেকে ৮৮ হাজার মানুষ বায়ুদূষণের কারণে মারা গেছেন।
ঢাকা শহরে বায়ুদূষণের এত স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকার পরও সাধারণ মানুষ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা যথেষ্ট সচেতন নন। এর কারণ, বায়ুদূষণ একটি নীরব ঘাতক এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের মাধ্যমে মানুষের মৃত্যু ঘটায়। উদাহরণস্বরূপ, কোভিড-১৯ যখন ২০২০ সালের জানুয়ারিতে প্রথম ছড়িয়ে পড়ে, পৃথিবীব্যাপী মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে এবং সবাই খুবই সচেতন হয়।
এমনকি কোভিড-১৯-এর কারণে অনেক শহর ও দেশ সম্পূর্ণরূপে মানুষ চলাচল বন্ধ করে দেয়। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড-১৯ ড্যাশবোর্ডের তথ্য অনুসারে, গত তিন বছরে কোভিড-১৯-এর কারণে সারা বিশ্বে প্রায় ৬৮ লাখ মানুষ মারা গেছেন। অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুসারে, এক বছরেই বায়ুদূষণের কারণে ৭০ লাখ মানুষ মারা যান।
ঢাকা শহরে বায়ুদূষণের প্রধান কারণগুলো হলো যানবাহন থেকে নিঃসরিত ধোঁয়া, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, নিম্নমানের জ্বালানি ব্যবহার, ইটভাটা, নির্মাণাধীন কাজ এবং রাস্তাঘাট সংস্কার থেকে আসা ধুলাবালু।