শুভ বসাক, ময়মনসিংহ :
ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু বলেছেন, বঞ্চিত শিশুদেরকে নিয়ে মূলধারায় যুক্ত করা প্রধানমন্ত্রীর মূল উদ্দেশ্য। বিগত সময়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী তাদেরকে নিয়ে কাজ করা, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, দরিদ্র পরিবারের সন্তান যারা অর্থের অভাবে লেখাপড়া করতে পারতেন না, তারা অর্থের অভাবে প্রশিক্ষণ নিতে পারতেন না তাদেরকে প্রশিক্ষিত করে লেখাপড়ার সুযোগ করে দিয়ে মূল ধারায় ফিরে আসতে পারে এই ধরনের কার্যক্রম আমরা সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে করেছি। আর খেলাধুলার মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত হয়। এজন্য সিটির সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে আমরা এ আয়োজন করেছি। যাতে করে তারা শরীরিক ও মানসিকভাবে এগিয়ে আসতে পারে। তবে এক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের পাশাপাশি নিজেদেরও এগিয়ে আসতে হবে। রবিবার সকালে নগরীর সার্কিট হাউজ মাঠে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় শিশু-কিশোর ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মেয়র। মেয়র আগামীতে ওয়ার্ড পর্যায়ে এবং পরবর্তীতে সিটি পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করে তিনি বলেন, এ ধরণের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমাদের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে যেসকল প্রতিভাবান খেলোয়াড় রয়েছে
তারা এসব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশকে তারা আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে। মসিকের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ১১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ ফরহাদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইউসুফ আলী, জেলা ক্রীড়া অফিসার আবদুল বারী, মসিকের ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ শরীফুল ইসলাম। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মসিকের অন্যান্য কাউন্সিলরবৃন্দ, (ভারপ্রাপ্ত) সচিব, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মিঞা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জহুরুল হক, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আরিফুর রহমান, আঞ্চলিক নির্বাহী রাফিকুজ্জামান, মাসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুদ রানা, জনসংযোগ কর্মকর্তা শেখ মহাবুল হোসেন রাজিব, খাদ্য ও সেনিটেশন কর্মকর্তা দীপক মজুমদার, প্রশাসনিক কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার নন্দীসহ প্রমুখ। ফুটবল, ক্রিকেট, কাবাডি, ব্যাডমিন্টন ও ভলিবল প্রতিযোগিতায় ৫ টি ইভেন্টে ২৪০ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশু অংশ নেয়।