একটি ভাষণ ও স্বাধীনতা
রাশেদুজ্জামান সবুজ
০৭-০৩-২০২৩
আমি শুনেছি হিরোশিমার বিস্ফোরণের কথা
শুনেছি সেই এটম বোমার ভয়াবহতা।
চোখের পলকে বাতাসে ছড়ানোর কঠিন বাস্তবতা।
শুনেছি তার ঐ ক্ষমতার ব্যাপক সফলতা।
তারই পরশ দেখেছি আমি ৭ই মার্চের ভাষণের বিস্ফোরণে
তারই শক্তির গভীরতা পেয়েছি উদ্দীপ্ত রেসকোর্স ময়দানে।
অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মতো ছড়ানো ছিল তারই শক্তিমত্তা
প্রাণের স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে আনার ঐশ্বরিক ক্ষমতা।
সেই প্রেরণাকে জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার অবিশ্বাস্য সফলতা।
পাকিস্তানী দখলদার কিংবা তার দোসররা বুঝতেই পারিনি সেদিন
এই ভাষণের আকর্ষণের ব্যাপকতা
পৃথিবী থেকে যেমন যায়না বুঝা
মিটিমিটি কোন তারার প্রখরতা।
এই ভাষণ ছিল ফিউশনে ভরা শক্তি
স্বাধীনতাকে পাবার জন্য ঐতিহাসিক এক চুক্তি।
এ ভাষণে পাই নিপীড়িত নিগৃহীত বঞ্চিত মানুষের মুক্তির ঐকান্তিক দিশা,
খুঁজে পাই হেথায়, মাটি- মানুষকে ভালবেসে
আত্মসম্মানের মাথা উঁচু করে বাঁচার আশা।